Important Links







তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর কমিয়ে ১৫% করার দাবি

Posted By : Admin    February 16, 2022   

তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর কমিয়ে ১৫% করার দাবি

 

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট করহার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান এ প্রস্তাব তুলে ধরেন।
 

এনবিআর সদস্য (শুল্ক নীতি) মো. মাসুদ সাদিকের সভাপতিত্বে এ আলোচনায় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনসহ দুই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নীতি) জাকিয়া সুলতানা ও সামসুদ্দিন আহমেদ (আয়কর নীতি) এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট করহার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এই করহারেও অনেক ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হচ্ছে না। অথচ বাজারে মৌল ভিত্তিসম্পন্ন ভালো কোম্পানির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই বাজারে ভালো কোম্পানিকে আগ্রহী করে তুলতে এ করহার ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করছি। তার দাবি, কভিড মহামারীর কারণে পুঁজিবাজারে ‘ধীরগতি চলায়’ দেশের ৬৬টি মার্চেন্ট ব্যাংকের পরিচালন খরচ বহন করাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাম শাহীন বলেন, ২০১৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী দেশের সব লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পলিসিহোল্ডারদের মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। এটি বাতিল করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, মুনাফার ওপর এই কর আরোপের ফলে দেশের সব লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির গ্রাহক ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। এ কর প্রত্যাহার করা না হলে লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবসার পরিধি প্রতিনিয়ত হ্রাস পাবে। কোম্পানিগুলোর পক্ষে টিকে থাকা কষ্টসাধ্য হবে। তালিকাভুক্ত ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার ও করপোরেট করহার কমানোর দাবিও জানান তিনি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সাইফুর রহমান মজুমদার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট করহার ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, করহার কমে গেলে এসব কোম্পানির হিসাবে পুরোপুরি স্বচ্ছতা আসবে। আর স্বচ্ছতা এলে রাজস্ব আহরণ বাড়ার পাশাপাশি শেয়ারধারীরাও লাভবান হবেন।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) জিএম গোলাম ফারুক আলোচনায় অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ বহাল রাখার দাবি তুলে ধরে বলেন, নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন না তোলা হলে বাজারে বিনিয়োগ বাড়বে। এছাড়া লভ্যাংশের ওপর উৎসেকর বাতিল, করমুক্ত আয়ের সীমা ১ লাখ টাকায় উন্নীত করা এবং এসএমই কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে প্রথম তিন বছর কর ছাড় এবং পরে ১৫ শতাংশ কর নেয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।

Share on your Social Media